শংকরপাশা শাহী মসজিদ বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ মজলিশ আমিন; মসজিদের পাশেই আছে তার মাজার। এটি একটি এক চালা ভবন এবং এর সম্মুখের বারান্দাটির প্রস্থ তিন ফুটের সামান্য বেশি। এতে চারটি গম্বুজ রয়েছে; মূল ভবনের উপর একটি বিশাল গম্বুজ এবং বারান্দার উপর রয়েছে তিনটি ছোট গম্বুজ। মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি বড় দীঘি রয়েছে।
শংকর পাশা শাহী মসজিদ: বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন: বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদ হল শংকর পাশা শাহী মসজিদ। পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদটি বাংলাদেশের ইসলামি স্থাপত্যের একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
ইতিহাস: মসজিদটির নির্মাণের সঠিক তারিখ নির্ধারণ করা যায়নি, তবে ধারণা করা হয় পনের শতকে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে শংকর পাশার নামে, যিনি ছিলেন একজন ধার্মিক ব্যক্তি এবং এই মসজিদটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছিলেন।
স্থাপত্য: শংকর পাশা শাহী মসজিদটি তার স্থাপত্য শৈলীর জন্য বিখ্যাত। মসজিদটিতে ইসলামি স্থাপত্যের প্রভাব স্পষ্ট। মসজিদটির গম্বুজ, মিনার এবং জানালাগুলি ইসলামি স্থাপত্যের চিরচেনা বৈশিষ্ট্য। মসজিদটির দেয়ালে নকশাকৃত ইটের কাজ এবং জ্যামিতিক নকশাগুলি মসজিদটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
শংকর পাশা শাহী মসজিদের গম্বুজ
গুরুত্ব: শংকর পাশা শাহী মসজিদটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মসজিদটি বাংলাদেশের ইসলামি স্থাপত্যের একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী মসজিদটি দেখতে আসেন।
অবস্থান: শংকর পাশা শাহী মসজিদটি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার শংকর পাশা এলাকায় অবস্থিত।
কিভাবে যাবেন: আপনি সিলেট থেকে বা হবিগঞ্জ সদর থেকে বাস বা সিএনজি করে শংকর পাশা শাহী মসজিদে যেতে পারেন।
উপসংহার: শংকর পাশা শাহী মসজিদটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন। মসজিদটির স্থাপত্য শৈলী এবং ইতিহাস এটিকে একটি অনন্য স্থান করে তুলেছে। যদি আপনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন, তাহলে শংকর পাশা শাহী মসজিদ দেখতে ভুলবেন না।
আপনি কি শংকর পাশা শাহী মসজিদ সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান?
আপনি যদি মসজিদটির ভিতরের ছবি দেখতে চান, তাহলে আমাকে জানান।